বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় PSC, JSC, SSC এবং HSC পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পরীক্ষাগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান ও দক্ষতা যাচাই করার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রযুক্তির অগ্রগতি এই পরীক্ষাগুলোকেও বদলে ফেলছে।
PSC, JSC, SSC এবং HSC পরীক্ষায় প্রযুক্তির প্রয়োগ:
- অনলাইন আবেদন: অনলাইন আবেদন ব্যবস্থার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা সহজেই আবেদন করতে পারছে।
- অনলাইন ফলাফল: পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করা হচ্ছে।
- অনলাইন প্রস্তুতি: অনলাইনে বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক ওয়েবসাইট, ভিডিও লেকচার এবং অনলাইন কোর্স পাওয়া যাচ্ছে।
- কম্পিউটারভিত্তিক পরীক্ষা (CBT): কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে CBT চালু করা হয়েছে।
- ইলেকট্রনিক মূল্যায়ন: কিছু বিষয়ে ইলেকট্রনিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
প্রযুক্তির প্রভাব:
- সুবিধা:
- সময় সাশ্রয়: অনলাইন আবেদন ও ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে সময় সাশ্রয় হচ্ছে।
- খরচ কমানো: অনলাইন প্রস্তুতির মাধ্যমে প্রস্তুতির খরচ কমছে।
- ফলাফলের দ্রুত প্রকাশ: অনলাইনে ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করা হচ্ছে।
- মূল্যায়নের স্বচ্ছতা: ইলেকট্রনিক মূল্যায়ন ব্যবস্থায় মূল্যায়নের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- অসুবিধা:
- ডিজিটাল বিভাজন: সকলের কাছে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির সুযোগ না থাকায় ডিজিটাল বিভাজন তৈরি হতে পারে।
- প্রযুক্তিগত ত্রুটি: প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারে।
- অনলাইন প্রতারণা: অনলাইন পরীক্ষায় প্রতারণা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সরকারের ভূমিকা:
- সকলের জন্য ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।
- ডিজিটাল বিভাজন দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
- প্রযুক্তিগত ত্রুটি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া।
- অনলাইন প্রতারণা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।
শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ:
- প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহার করা।
- অনলাইন প্রতারণায় লিপ্ত না হওয়া।
- ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা।
প্রযুক্তি শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে, অনলাইন প্রতারণা রোধ করতে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রযুক্তির বিরূপ প্রভাব রোধ করতে সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের একসাথে কাজ করতে হবে।